সরকার যৌতুক আইন আরও কঠোর করতে যাচ্ছে। সংশোধিত আইনে যৌতুক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেউ আত্মহত্যা করলে একে আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং এর শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অপরাধের দণ্ড বাড়িয়ে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৯৮০ সালে করা ‘যৌতুক নিরোধ আইন’ সংশোধনের খসড়া তৈরি করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনকারীর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী, স্বামীর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, মারাত্মক জখম করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীন কারাদণ্ড ও সর্বনিম্ন ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে অর্থদণ্ড নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি কারাদণ্ডের মেয়াদও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করা হলে তার শাস্তির বিষয়ে খসড়ায় নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।