ট্যানারির বর্জ্য ও ময়লার গন্ধে অতিষ্ঠ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এর হাজারীবাগ থানা এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণ। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প এখনো পুরোপুরি স্থানান্তর না হওয়ায় এখানকার পরিবেশ আগের মতোই আছে। ওয়ার্ডের টালি অফিস, জিগাতলা কলোনি এবং বউবাজার ও বেড়িবাঁধ বস্তিতে মাদকের সয়লাব। দীর্ঘদিন ধরে এখানে চলছে এ ব্যবসা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লেদার কলেজ, হাজারীবাগ বাজার, ট্যানারি মোড়ের বেশির ভাগ ড্রেন ভর্তি ময়লা ও বর্জ্যে। বেড়িবাঁধের পাশে ময়লার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ময়লা পচা গন্ধে এলাকায় বাস করা কঠিন হয়ে। এ ছাড়া মশার উপদ্রব, গ্যাস সংকট, ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ রয়েছে এ ওয়ার্ডে। জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। মধুবাজার ও রায়েরবাজারে স্যুয়ারেজ ড্রেন ভর্তি হয়ে আছে ময়লা ও বর্জ্যে। অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ এবং ট্যানারির বর্জ্য সরবরাহে সুব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বর্জ্য ও ময়লা অপসারণে ডিএসসিসি কর্মকর্তাদের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেলিম বলেন, রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ, স্যুয়ারেজ মেরামত, পরিষ্কারকরণ, মশার ওষুধ দেওয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উচিত মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।’