চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এই ওয়ার্ডের অবস্থান হওয়ায় জোয়ারের পানি ওঠা-নামার কারণে অনেক সময় জলাবদ্ধতার শিকার হন এলাকাবাসী। স্লুইস গেট না থাকায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করেন ওয়ার্ডবাসীদের বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে চসিকের পক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংকট গভীর নলকূপের। আবর্জনায় নাকাল থাকে ওয়ার্ডের সড়ক, গলি-উপগলি ও ফুটপাত।
প্রায় চার বর্গমাইল আয়তনের এ ওয়ার্ডের জনসংখ্যা তিন লাখ ৫০ হাজার। ভোটার এক লাখ ২১ হাজার ৯৫০ জন। ওয়ার্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ৩৪টি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাগরের তীরবর্তী ওয়ার্ড হওয়ায় পানি উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইস গেট নির্মাণ করলেও এর সুফল পাচ্ছে না ওয়ার্ডবাসী। বর্ষা মৌসুম তো বটেই, অন্য সময়েও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় অনেক নিম্নাঞ্চল। এ ওয়ার্ডে পানির সংকটও তীব্র। কারণ ইপিজেড এলাকায় প্রচুর সংখ্যক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এলাকার অন্য গভীর নলকূপ থেকে পানি উঠছে না বলেই চলে। একই সঙ্গে আছে ফুটপাত দখল বাণিজ্য। চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান ভিআইপি সড়ক হলেও এখানে দখল বেদখল চলে প্রতিযোগিতা।