ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আসছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কূটনৈতিক এলাকাসহ পুরো করপোরেশন এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে এ পরিকল্পনা। এজন্য ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
ডিএনসিসি-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরপর ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরু হয় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হয় গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন এলাকায়। এ ছাড়া গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা এনে রাস্তায় নামানো হয় বাস সার্ভিস ‘ঢাকা চাকা’ ও হলুদ রিকশা সার্ভিস। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি দূতাবাসগুলোর পাশাপাশি তাদের বাসা ও প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুলশান-বারিধারার অর্ধশত পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা। ১১টি পয়েন্টে বসেছে চেকপোস্ট। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহল। এরই মধ্যে কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ডিএমপির কূটনৈতিক নিরাপত্তা জোন। এত দিন বিদেশি দূতাবাসের নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল পুলিশ। এর পাশাপাশি এখন দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিদেশিদের বসবাসের ভাড়ায় থাকা বাড়ি, বিদেশি স্কুল, প্রতিষ্ঠান ও প্রায় সড়কে পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। দূতাবাসের পাশাপাশি বাসা, স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমেরিকান দূতাবাস ২২টি স্থাপনার তালিকা দিয়েছিল। এ ছাড়া জাপান দূতাবাস ১৮টি, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ৬টি, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস ৭টি ও ভারতীয় হাইকমিশন ২১টি বাড়ির তালিকা দিয়েছে।