শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রেস ক্লাবে জনু ভাইকে শেষ শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট সাংবাদিক ভাষাসৈনিক জয়নাল আবেদিনের মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন তার সহকর্মী, সাংবাদিক, বন্ধুরা। সহকর্মীদের কাছে জনু ভাই হিসেবে পরিচিত জয়নাল আবেদিনের নামাজে জানাজা শেষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিয়ে আসা হলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আবারও জানাজার পর তাকে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বাংলা অন্তপ্রাণ এ উর্দুভাষীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর সময় অনেকেই ‘জনু ভাই’কে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। প্রেস ক্লাবের এই চেনা মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে এসে অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান জয়নাল আবেদীন। ৮১ বছর বয়সী এ প্রবীণ সাংবাদিক লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জয়নাল আবেদীনের জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, আবদুর রহীম, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, আবদুর রহমান খান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কাদের গনি চৌধুরী, এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, আরেক অংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান, সাংবাদিক স্বপন সাহা প্রমুখ। জয়নাল আবেদিন উর্দুভাষী হয়েও ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। পরিবারের সবাই পাকিস্তানে চলে গেলেও বাংলার টানে থেকে যান এ দেশেই। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যকর্মেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের কাহিনী তার লেখা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। দুই ভাই পাকিস্তানের করাচিতে থাকেন। একমাত্র বোন চার বছর আগে মারা যান।

সর্বশেষ খবর