বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নগরায়ণে কর অবকাশ সুবিধা চান আবাসন ব্যবসায়ীরা

শহরে পাঁচ ও গ্রামে ১০ বছরের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরায়ণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন উৎসাহিত করতে শহরে ৫ এবং গ্রাম এলাকায় ১০ বছর মেয়াদি ‘ট্যাক্স হলিডে’ বা কর অবকাশসহ ১২ দফা সুবিধা চেয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সিঙ্গেল ডিজিট বা ১ অঙ্ক সুদে দীর্ঘমেয়াদি পুনঃ অর্থায়ন চালু করে এ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হোক। বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য দায়মুক্তির সুযোগ রাখতে হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকার কর অঞ্চল-৫ আয়োজিত ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা ও রাজস্ব সংলাপ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। কর অঞ্চল-৫-এর কমিশনার হাবিবুর রহমান আখন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রিহ্যাবের প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সোহেল রানা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, জহির উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড—ইডব্লিউএমজিএলের কর পরামর্শক অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন। মতবিনিময় সভায় কর কমিশনার হাবিবুর রহমান আখন্দ বলেন, ‘আবাসন ব্যবসায়ীরা আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। এ খাতের ব্যবসা মন্দা হলে আমাদের রাজস্ব আয় কমে যায়। তাই আবাসন খাতের উন্নয়ন ও অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে ধরে রাখার উপায় বের করতে হবে।’ সভায় রিহ্যাবের ১২ দফা প্রস্তাবে বলা হয়, ফ্ল্যাট ও প্লটের রেজিস্ট্রেশন-সংশ্লিষ্ট কর ও ফি সর্বমোট ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হোক। বর্তমানে এ ব্যয় ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত হয়। সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশে এ ব্যয় ৪ থেকে ৭ শতাংশ। আবাসনশিল্প রক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যমান ভ্যাট হার কমানো এবং নতুন করে ভ্যাট আরোপ না করার প্রস্তাবও রাখা হয়। এছাড়া আবাসন খাতে গেইন ট্যাক্স ১৫ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হোক। পাশাপাশি নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে আবাসন খাতে ‘সেকেন্ডারি বাজার’ ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর