শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

যুবদলের নতুন কমিটি নিয়ে বরিশালে অসন্তোষ

ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করায় ক্ষোভ

রাহাত খান, বরিশাল

৫ জানুয়ারির আগে ও পরের আন্দোলনে ৩টি মামলা খেয়েছি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা তাণ্ডবসহ বিভিন্ন সময় হরতাল-অবরোধে রাজপথে সক্রিয় থাকায় মোট ১৭টি মামলা জুটেছে কপালে। ১৪ মাস জেল খেটেছি। প্রতিনিয়ত মামলাগুলোয় আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। তারপরও ত্যাগী কর্মীর মূল্যায়ন করেনি দল। কথাগুলো বলছিলেন বরিশাল মহানগর যুবদলের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান রতন। যিনি গতকাল কেন্দ্র ঘোষিত মহানগর যুবদলের ৭ সদস্যের কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি। কেন্দ্রীয় যুবদল গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের ১২ সাংগঠনিক জেলায় যে নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে বরিশাল মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা অন্যতম।

রতন অভিযোগ করে বলেন, যাকে মহানগর যুবদলের সভাপতি (আক্তারুজ্জামান শামীম) করা হয়েছে, তিনি ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে আজ পর্যন্ত দলের কোনো কর্মসূচিতে আসেননি। তিনি রাজপথে সক্রিয় নেই, তাকে দলের কর্মসূচিতেও দেখা যায় না। তিনি অপসোনিনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার। একইভাবে জেলা যুবদলের নতুন কমিটি নিয়েও রয়েছে ক্ষোভ আর অসন্তোষ। নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু বলেন, পুলিশের পিডানি খাইছি। দ্রুত বিচার আইনে ৫টিসহ ১২ মামলার আসামি হয়েছি। ৪ বার জেল খেটেছি। আর যারা ২০১৪-১৫ এর আন্দোলনে ছিল না, যাদের ফ্যামিলি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত, যারা ছাত্রদলে থাকাবস্থায় কমিটি বেইচ্যা খাইছে, তাদের নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর বরিশাল দক্ষিণ জেলা এবং ৮ বছর পর মহানগর যুবদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, যুবদল একটি বিশাল সংগঠন। অসংখ্য নেতা-কর্মী যুবদলের নেতৃত্বে আসার প্রত্যাশায় ছিল। সীমিত পদ সংখ্যার বিপরীতে নেতৃত্ব প্রত্যাশী সব নেতাকে একটি কমিটিতে সবাইকে সন্তুষ্ট করা কঠিন। তারপরও বরিশাল দক্ষিণ জেলা এবং মহানগরে যে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটা যাচাই-বাছাই করে যথাসাধ্য ভালো কমিটি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নতুন নেতৃত্বে বরিশালে যুবদলের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর