শনিবার, ৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুরোপুরি অভিভাবকহীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মর্তুজা নুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অবর্তমানে সবেধন নীল মণির মতো কোষাধ্যক্ষ এতদিন রুটিন মাফিক কাজ চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হলে এ পদটিও শূন্য হয়ে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেল রুটিন কাজও।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানের মেয়াদ শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদ দুটি ফাঁকা হওয়ায় রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে ২০ মার্চ বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয়। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে উত্তর আসেনি। কোষাধ্যক্ষেরও মেয়াদকাল শেষ হওয়ার বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।

এদিকে, গত ৪৬ দিন ধরে রাবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর ফল, সনদ তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। এ ছাড়া শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছেন না শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তারা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও উপাচার্য না থাকায় সেটা মিলছে না।

সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটি, একাডেমিক কমিটির বৈঠকসহ অন্যান্য আর্থিক খাত, পরীক্ষার ফল প্রকাশ থেকে শুরু করে কমিটি গঠন, মূল সনদপত্র উত্তোলন, ভর্তি কার্যক্রম, বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজনের অনুমোদনের কাজ আটকে আছে।

 সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন অচল হয়ে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও অধিভুক্ত উত্তরবঙ্গ থেকে খুলনা পর্যন্ত সব মেডিকেল কলেজ মিলে প্রায় ১০০ পরীক্ষার ফল এখন দফতরে আটকে আছে। ফল তৈরি থাকলেও উপাচার্য অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিসি ও প্রো-ভিসির পদ খালি থাকায় রুটিন কাজগুলো কিছুটা চালিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু মেয়াদকাল শেষ হওয়ায় এবং নিয়ম অনুযায়ী ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগের পর ছাড়া কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ সম্ভব না হওয়ায় প্রশাসনিক কাজে ভোগান্তি আরও বাড়বে। দ্রুত ভিসি, প্রো-ভিসি নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ভেঙে পড়বে।

সর্বশেষ খবর