‘শওকত ওসমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা এখনো আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার সেই অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রত্যেকেরই চেষ্টা করে যেতে হবে। ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শওকত ওসমান স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথাই বলেছেন বক্তারা। কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বক্তৃতা করেন শওকত ওসমানের ছেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক।
ভাষাসংগ্রামী ও রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু।
গীতি নৃত্যনাট্য ‘ওয়াটারনেস’ : তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার শিল্পকলা একাডেমিতে পরিবেশন করেছে গীতি নৃত্যনাট্য ‘ওয়াটারনেস’। সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, মাইম, চিঠি, চিত্র, মার্শাল আর্টস ইত্যাদির সম্মিলনে সাজানো হয়েছে এই গীতি নৃত্যনাট্যটি।রবিঠাকুর আধুনিক কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন বউদি কাদম্বরী দেবীর সংস্পর্শে এসে। ধারণা করা হয়, তিনি সে সময়ের কবিদের থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নতুন কাব্যচর্চার সন্ধানে আগ্রহী করেছিলেন। তাদের দুজনের সম্পর্ক প্রথাগত বউদি-দেবরের ছিল না। তা বিরাজ করত অন্য মাত্রায়। পাঠকের মনে রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক রহস্যঘেরা এবং রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন। এসব বিষয় গীতি নৃত্যনাট্যটিতে তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
‘ওয়াটারনেস’র পাণ্ডুলিপি লিখেছেন ধীমান ভট্টাচার্য। এর মূল ভাবনা, নকশা, নৃত্য পরিচালনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। পরিবেশনায় অংশ নেন পূজা সেনগুপ্ত, নবনীতা দেব, আতিক রহমান, ইয়াসনা রহমান প্রমুখ।