মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই বিএনপির সংঘর্ষ

সভা শেষ না করেই চলে যান গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপস্থিতিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই গ্রুপে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নগরীর পাঠানপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এক কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে সংঘর্ষের মধ্যেও সমাবেশ শেষ হয়েছে। সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, সমাবেশ শুরু হওয়ার পর যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের মঞ্চে উঠাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর কমিউনিটি সেন্টারের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং সাবেক সভাপতি ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বুলবুলপন্থির কয়েকজন কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় পুলিশ বিএনপির এক কর্মীকে আটক করে। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি করে সমাবেশ শেষ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সমাবেশের শেষ মুহূর্তে নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও আবার সংঘর্ষ বাধে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর