শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

২৭ বছর পর চসিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র

কালকের সভায় অনুমোদনের সম্ভাবনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

২৭ বছর পর চসিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১০ সালে কয়েকজন চিকিৎসককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়। ২০১১ সালে আবারও কিছু চিকিৎসককে নিয়োগ দেন স্থায়ী ভিত্তিতে। ওই সময় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। কয়েকজন চাকরিও ছেড়ে দেন। বর্তমানে চিকিৎসকের আটটি পদ শূন্য। পক্ষান্তরে ১০ বছর আগে কিছু চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ পান অস্থায়ী ভিত্তিতে। পরবর্তীতে একই  পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।  তা    ছাড়া চাকরি স্থায়ী না হওয়া, সমকালীন মানের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনেক চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি    ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।    

চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না থাকায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। অবশেষে চসিক একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। ইতিমধ্যে চার সদস্যের ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কৌশলপত্র’ প্রণয়ন কমিটি এবং চসিকের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটি এটি চূড়ান্ত করেছে। রবিবার সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর শুরু হবে বাস্তবায়ন।  

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ২৭ বছর চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ছাড়া পরিচালিত হয়েছে। তবে এখন একটি যুগোপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। রবিবারের সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন শুরু হবে।  জানা যায়, স্বাস্থ্যনীতির উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে আছে, ‘নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি’, ‘হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’ এবং ‘ওয়ার্ড স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি’। এসব কমিটি গঠনের ধরন, দায়িত্ব-কর্তব্যও উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, স্থানীয় সরকারের নিয়ম মতে, নগরের স্বাস্থ্যসেবা  প্রতিষ্ঠানগুলোর চসিক থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এখন কোনো সেবা প্রতিষ্ঠানের চসিকের অনুমোদন নেই।  তাই নগরের স্বাস্থ্যসেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে     সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, বিএমএ, গণমাধ্যম এবং উন্নয়নকর্মীর সমন্বয়ে ‘নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠনের সুপারিশ  করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্থায়ীদের চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৈষম্য দূর করা, সেবাকেন্দ্র  পরিচালনায় শৃঙ্খলা তৈরির একটি রূপরেখা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর