কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দীর্ঘ ১৪ মাসেও চিহ্নিত করতে পারেনি মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। দেশব্যাপী আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। কিন্তু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে ঘাতকরা। সামরিক-বেসামরিক অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা, এমনকি ডিএনএ পরীক্ষায় ৩ ধর্ষণকারীর শুক্রাণু পেলেও এ পর্যন্ত ডিএনএ ম্যাচ করে ঘাতকদের শনাক্ত করতে না পারায় মেয়ে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে তনুর পরিবারসহ সচেতন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই মামলার তদন্ত সংস্থার নিরপেক্ষতা ও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা তনুর পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে সিআইডির দাবি, মামলার তদন্তে অগ্রগতি আছে। তনুর পরিবার জানায়, গত বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা সিআইডি। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ না করে প্রতিবেদন দেওয়ায় ঘটনার রহস্য উদঘাটন নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় দেখা দেয়।