শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিচারক নিয়োগের নীতিমালা সংক্রান্ত রিটের রায় প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারক নিয়োগের নীতিমালা সংক্রান্ত রিটের রায় প্রকাশ

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৬ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৩ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়। এর আগে এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট হাই কোর্ট বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী ২০১০ সালের ৩০ মে হাই কোর্টে এই রিট করেন। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৬ জুন হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করে।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে না এবং নিয়োগের নির্দেশনা প্রণয়ন করে তা কেন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে না— রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিলের শুনানি : উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ মামলার শুনানি গ্রহণ করে। শুনানি আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।

ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ : মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী প্রয়াত চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সব স্থাপনা ও রাস্তার নাম ৯০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী  রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর