শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনির্ধারিত স্থানে ট্রেন থামানোর প্রবণতা আশঙ্কাজনক

নেপথ্যে আরএনবিসহ দায়িত্বশীলরা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চোরাকারবারি, বিনা টিকিটের যাত্রী, নাশকতা সৃষ্টিকারীরা নিজ উদ্যোগে কিংবা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ (আরএনবি) ট্রেনের দায়িত্বশীলদের সহযোগিতায় তাদের সুবিধাজনক স্থানে ট্রেন থামাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অ্যালার্ম চেইন পুলিং (এসিপি) ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে এ প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। গত তিন মাসে কয়েক শ ট্রেনের অনির্ধারিত স্থানে যাত্রাবিরতির ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এসব ঘটনাসহ নানান জটিলতায় রেলের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে ট্রেনে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি এবং যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রেন পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি ও শিডিউল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসিপি পদ্ধতির কারণে চোরাকারবারিরা নানান সুযোগ নিচ্ছে। এটা ইচ্ছা করলে বন্ধ করা যায়। নতুন আমদানিকৃত কোচগুলোয় এসিপির আধুনিক সিস্টেম রাখা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনের অভ্যন্তরে জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন থামানোর চেইন থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওইসব চেইন অকেজো থাকে। কিন্তু ট্রেনের কর্মীদের সহযোগিতায় দুষ্কৃতিকারী কিংবা টিকিটবিহীন যাত্রীরা অনির্ধারিত স্থানে ট্রেন থামিয়ে দেয়। এতে সীমান্ত এলাকায় ট্রেন থামিয়ে চোরাকারবারিরা অবৈধ মালামাল নামায় এবং টিকিটবিহীন যাত্রীরা নেমে পড়ে বলে স্বীকার করেছেন রেলের সাবেক এই কর্মকর্তা।

পূর্বাঞ্চল রেলসূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে এসিপি ব্যবহার করে ট্রেন থামানোর প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। যাত্রাপথের অনির্ধারিত স্থানে (রাতের বেলা) ট্রেন থামানোর ফলে যাত্রীরা আতঙ্কিত থাকলেও কোনো ধরনের তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মূলত চোরাকারবারি, অবৈধ ব্যবসায়ী, বিনা টিকিটের যাত্রী, নাশকতা সৃষ্টিকারীরা নিজ উদ্যোগে কিংবা ট্রেনের কর্মীদের সহযোগিতায় এসিপি ব্যবহার করে কিংবা ট্রেন থামানোর চেন ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে মতামত জানতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ড্যান্ট (পূর্ব) মো. ইকবাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করে ও এসএমএস পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর