শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাহাড়ের নিচে সহস্রাধিক পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বাস

নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের মাইকিং

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট নগরী ও জেলার ৮টি উপজেলায় পাহাড়-টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন সহস্রাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পর সিলেটেও দেখা দিয়েছে পাহাড় ও টিলাধসের আতঙ্ক। মাটিধসে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পাহাড় ও টিলার নিচ থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিয়ে সমাবেশ করেছেন। জানা যায়, গত কয়েক বছরে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এবং জেলার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টিলাধসে মারা যান অন্তত ১০ জন। অপরিকল্পিতভাবে টিলা কাটা, বৃক্ষ উজাড় ও টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসের ফলে এমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। নগরী, নগরীর উপকণ্ঠ ও সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় টিলা ও পাহাড় কেটে কাঁচা-আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে সহস্রাধিক পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে এরা বসবাস করে এলেও তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া বা পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একশ্রেণির দুষ্কৃতকারী টিলা কেটে ভূমি দখলে রাখতে টিলার পাদদেশে ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীন দরিদ্রদের ভাড়া দিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিন নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের জালালীয়া আবাসিক এলাকা ও হাওলাদারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে জগোটিলা হিসেবে পরিচিত টিলার পাদদেশে ও টিলার ওপরে কয়েকশত পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে টিলার বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, জোনাকী, ইসলামপুর মেজরটিলা, মংলিরপাড় এলাকায় বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছে কয়েকশত পরিবার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর