শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঈদ উপলক্ষে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

রাহাত খান, বরিশাল

রমজানের আগে প্রতি কেজি আপেল বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। রমজান শুরুর আগে এক কেজি নাশপতি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় এখন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি আঙ্গুর বিক্রি হয়েছে ২২০-২৩০ টাকায় এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এক কেজি আনার বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় এখন ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি আম বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। বড়ই, খেজুর বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, এখন ২৫০ টাকা। সব ধরনের খেজুরে কেজি প্রতি বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা।

রমজান উপলক্ষে সব ধরনের ফলের দাম এক দফা বেড়েছিল। এবার ঈদকে সামনে রেখে আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও রমজান উপলক্ষে ফলের দাম কম। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই রমজানে সব ফলের দাম বাড়ে। যা ইহুদি অধ্যুষিত দেশেও নেই। আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নগরীর প্রধান ফলের বাজার ফলপট্টির একজন ব্যবসায়ী। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই ব্যবসায়ী বলেন, আমদানিকারকরা কোন ফল কী দামে কিনেছে, সেখান থেকে আড়তদাররা কী দামে কিনেছে, আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কী দামে কিনেছে, আবার খুচরা দোকানিরা কী দামে ভোক্তার কাছে বিক্রি করছে—এগুলো দেখার কেউ নেই। সরকারের কোনো সংস্থা এসব বিষয়ে তদারকি করেন না। তারা যদি আমদানিকারক, মধ্যস্বত্বভোগী এবং খুচরা বিক্রেতার ক্যাশমেমো খতিয়ে দেখতেন তাহলে এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে পণ্যের দাম বাড়ত না।

শুধু ফলের বাজার নয়, ঈদ সামনে রেখে আরেক দফা বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। মোটা বুলেট চাল পাইকারি কেজি প্রতি ৪৫ এবং খুচরা ৫০ টাকা, আটাশ বালাম খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৫২ টাকা, ভারতীয় স্বর্ণা (চিকন চাল) চাল পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৪৬ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, আটাশ বালাম (চিকন) প্রতি কেজি পাইকারি সাড়ে ৪৬ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, মিনিকেট (দাদা) পাইকারি বাজারে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে। নগরীর সাগরদী বাজারের পাইকারি দোকান ইসলাম স্টোরের মো. সাদি গতকালের চালের এ দর নিশ্চিত করেছেন। চাল ছাড়াও গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকা দরে।

সর্বশেষ খবর