বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের উপ-বনসংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে পৃথক তিন মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন, উপ-বনসংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রদ্র, খুলনা পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী ও হবিগঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার মো. মোখলেছুর রহমান। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক    বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে  ৯ লাখ ১২ হাজার ৩৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আসামি মো. মোখলেছুর রহমান ও অজিত কুমার রুদ্রয়ের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং আসামি মো. মোখলেছুর রহমান ও অজিত কুমার   রুদ্রের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় দুদক পৃথক আরও দুটি মামলা অনুমোদন দিয়েছে। ঘটনার সময় আসামিরা পাবনা বন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা ও মো. সাইদুর রহমান মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।