রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

রংপুরে হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

কর্মবিরতির ডাক বন্ধের দাবিতে

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

রংপুর বিভাগের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন আটকিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। কাগজ দেখার নামে নিয়মবহির্ভূতভাবে চাঁদা আদায়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন যানবাহন চালক-মালিকরা। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা দিয়ে যানবাহন চালাতে হয় বলে অভিযোগ তাদের। চাঁদাবাজির শিকার বেশি হচ্ছেন পণ্যবোঝাই যানবাহনের চালক-মালিকরা। 

হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে ১১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটি। গতকাল রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরি সভা করে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। সভার সভাপতি ও সংগঠনের সহসভাপতি আবদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ আগস্টের মধ্যে সড়ক-মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং সড়কে অবৈধ নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা না হলে ১১ আগস্ট থেকে চালকরা গাড়ি চালাবেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৫ হাজারের বেশি যানবাহ চলাচল করে। এর মধ্যে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে ৩ হাজার। আট জেলায় তিনটি হাইওয়ে থানা ও ৪টি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এগুলো হলো— পঞ্চগড়ের বোদা হাইওয়ে ফাঁড়ি, তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা, দিনাজপুরের দশমাইল হাইওয়ে ফাঁড়ি, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি, তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা হাইওয়ে ফাঁড়ি এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হাইওয়ে থানা। পঞ্চগড় থেকে বগুড়া পর্যন্ত ১৫টি পয়েন্টে পণ্যবোঝাই যানবাহন আটকিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে হাইওয়ে পুলিশ। যানবাহন প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কাগজ দেখার নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই যানবাহন আটকিয়ে রাখে। বাধ্য হয়ে এ টাকা দিতে হচ্ছে চালকদের। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত সময়ে চাঁদাবাজির ঘটনা বেশি ঘটে বলে চালকরা জানিয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশ রংপুর সার্কেলের পুলিশ সুপার ধীরেন মহাপাত্র চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর