চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ফের প্লাবিত হয়েছে। শনিবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। গণপরিবহনে সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিস ও শ্রমজীবী মানুষ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

পতেঙ্গার সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনা তংচঙ্গা বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে। তবে কোনো সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, ‘নগরীর কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি জমে যায়। তবে বৃষ্টি থামার পর পানি নেমে যায়। তাছাড়া জলাবদ্ধ এলাকায় গতকাল সকাল থেকে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালা-নর্দমা পরিষ্কারের কাজ করেছে। ফলে পানি নেমে যায়।’ জানা যায়, গত শনিবারের বৃষ্টির কারণে নগরীর বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর মধ্যে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, হামজারবাগ, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, হালিশহর কে ব্লক, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা, চকবাজারসহ নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। তবে বেশি সময় ধরে পানি স্থায়ী হয় নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নগরীর প্রধান সড়কে। পানির কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড এলাকার অফিসগামীরা কর্মস্থলে যেতে বিলম্ব হয়েছে, অনেকে আবার যেতে পারেনি। অন্যদিকে, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়কেও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রী ও পথচারী।