পরিবারের কাছে হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা চাওয়ায় তৈয়ব আলী নামে এক প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুনের পর তার লাশ গুমের চেষ্টাও চালায় তার স্বজনরা। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাড়ির দারোয়ানের তৎপরতায় গ্রেফতার হয় নিহতের দুই সন্তান মো. সোহেল (২০), বৃষ্টি আকতার (১৫), নিহতের স্ত্রী কোহিনূর বেগম (৪০), তার বোন জাহানারা (৪২)। শুক্রবার রাতে সদরঘাট থানাধীন টং ফকির মাজার এলাকায় পরিবারের হাতে তৈয়ব আলী খুন হলেও শনিবার রাতে রশিদ বিল্ডিং এলাকায় লাশ গুম করার সময় এ ঘটনা প্রকাশ হয়। নগরীর কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী তৈয়ব হাত খরচের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় ছেলে ও স্ত্রীকে নির্যাতন করত। শুক্রবার রাতে পরিবারের কাছে ৫০০ টাকা চায়। এ সময় তারা টাকা দিতে পারবে না বললে, তৈয়ব আলী তাদের সঙ্গে ঝাগড়া করে। একপর্যায়ে সোহেল তার বাবাকে কাঠের ব্যাট দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তার মা কোহিনূর ও খালা জাহানারা গলা টিপে ধরেন।