রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যাকাণ্ডের কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকাণ্ডের ১১ মাসেও কোনো ক্লু খুঁজে পায়নি তারা। হত্যাকারীরা হলের বাইরের নাকি ভিতরের, তারও জবাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আবদুল লতিফ হলের ভিতরে নির্মমভাবে খুন হন লিপু। মাথায় জোরালো আঘাত করে তাকে খুন করা হয়। ঘটনার দিন লিপুর চাচা বশির উদ্দিন নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ এই সময়ে কয়েক দফায় তদন্তকারী সংস্থা ও তদন্ত কর্মকর্তা বদল হলেও কার্যত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, ফল শূন্য। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও খুনি কারা— তা এখনো রহস্যাবৃত। দীর্ঘদিনেও খুনিরা ধরা না পড়ায় হতাশ নিহতের স্বজনরা। মামলাটি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে। মামলাসূত্রে জানা গেছে , হত্যাকাণ্ডের প্রথম তিন মাসের মধ্যে তিনবার বদল হয় তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটির বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির ইন্সপেক্টর আসমাউল হক। হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পূর্ণ হলেও মামলার অভিযোগপত্র দূরে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ক্লু পাচ্ছে না সিআইডি।