বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) উদ্যোগে আজ থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণশুনানি শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য আজ থেকে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিইআরসি কার্যালয়ে পাইকারি ও সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির ওপর এ শুনানি হবে।
এরই মধ্যে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩০ থেকে ৩৫ পয়সা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন। তবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার যদি পিডিবিকে সরাসরি সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ দেয় তাহলে দাম বৃদ্ধি নাও হতে পারে। যদিও দাম বৃদ্ধির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিইআরসি।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। আজ ও আগামীকাল গণশুনানির প্রথম ও দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। পিডিবি গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা (১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ) বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছে।ডিসিসিআইর উদ্বেগ : এদিকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ডিসিসিআইর নেতারা। তারা স্বল্প উৎপাদন ব্যয় নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের আরও অধিকহারে ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই কর্তৃপক্ষ মনে করে, বিদ্যুতের পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা হলে উৎপাদনমুখী শিল্প বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্টিল রি-রোলিং, টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। তারা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং সব সরকারি-বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে একটি ‘জ্বালানি মনিটরিং কমিটি’ গঠনসহ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।