বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিডিংয়ের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বসুন্ধরা পেপার মিলসের চুক্তি

পুঁজিবাজারে আসায় ধন্যবাদ ডিএসইর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিডিংয়ের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বসুন্ধরা পেপার মিলসের চুক্তি

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তি করেছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করতে ইস্যুমূল্য বা কাট অব প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন পেয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। আর বিডিং প্রক্রিয়ায় ইস্যুমূল্য নির্ধারণে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার ও টেকনিক্যাল সহায়তায় বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলসের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই এফসিএস ও ডিএসইর পক্ষে লিস্টিং ম্যানেজার জলিলুর রহমান এবং সিএসইর পক্ষে আইটি বিভাগের ডিজিএম হাসনাইন বারী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মাজেদুর রহমান, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান খান, বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মির্জা মুজাহিদুর ইসলাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এম মাজেদুল ইসলাম এবং বসুন্ধরা পেপার মিলসের ইস্যু ম্যানেজার এ এ এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রমুখ। জানা গেছে, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড শেয়ার ছেড়ে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে পেপার ও পেপারসামগ্রী উত্পাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর মেঘনাঘাটে ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিট-৩ চালু রয়েছে। ২৭ আগস্ট ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে কাট অব প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

বসুন্ধরা পেপার মিলস তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে এমজি পেপার, অফসেট পেপার, হোয়াইট রাইটিং অ্যান্ড প্রিন্টিং পেপার, ব্রাউন লাইনার, নিউজপ্রিন্ট পেপার, কোটেড অ্যান্ড আনকোটেড পেপার বোর্ড, এ-৪ পেপার, গ্লাসাইন পেপার, স্টাইফেনার, লেজার পেপার, পিপি ওভেন ব্যাগ ও স্যাক পেপার উত্পাদন করে মানুষের চাহিদা পূরণ করে আসছে। টিস্যুর মধ্যে রয়েছে ফেসিয়াল টিস্যু, পকেট টিস্যু, ওয়েট টিস্যু, ড্রিন টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, টয়লেট টিস্যু ও কিচেন টাওয়েল।

অনুষ্ঠানে কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই বলেন, ‘বসুন্ধরা দেশের অন্যতম বৃহত্ গ্রুপ। দেশ ও মানুষের কল্যাণে গ্রুপটি কাজ করছে। পেপার মিলের টার্নওভার ১ হাজার কোটি টাকা। মুনাফাও ভালো। সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে বসুন্ধরার পেপার রপ্তানি হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে পরিধি আরও বাড়বে। ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা এলপি গ্যাসকেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা হবে।’

পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনে এগিয়ে আসায় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে কেবল টাকাই উত্তোলন হয় না, বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কোম্পানির সখ্য ও সম্পর্ক তৈরি হয়। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় বড় কোম্পানিকে বাজারে আনতে চাই। কেবল পেপার মিলস নয়, বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যান্য ইউনিটও পুঁজিবাজারে আনা হবে। পেপার মিলস ভালো অবস্থানে আছে। তালিকাভুক্ত হলে আরও ভালো হবে।’ তালিকাভুক্তিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, ‘এই কোম্পানির তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানিও বাজারে আসবে।’

সর্বশেষ খবর