রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন ও রাশিয়ার ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল দেওয়া পার্টির পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বিবৃতিতে এ হতাশা ব্যক্ত হরা হয়। দলীয় প্যাডে কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের জন্য সেখানে সংঘটিত সহিংস আক্রমণকে দায়ী করা কেবল একদেশদর্শী মন্তব্য নয়, বরং রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত গণহত্যাকে ন্যায্যতা প্রদানের শামিল। এটা আজ বিশ্বস্বীকৃত যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সেনাবাহিনী জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে। পরিস্থিতি এতই অস্বাভাবিক যে, তাকে আড়াল করতে মিয়ানমার সরকার ওই রাজ্যে জাতিসংঘের কোনো প্রকার প্রতিনিধি বা সাহায্য প্রেরণের সব অনুরোধকে অস্বীকার করে চলেছে। চীন ও রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তির এই সত্যকে অস্বীকার করা বাস্তবতাকেই অস্বীকার করা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সব প্রকার সংযম প্রদর্শন করে দ্বিপক্ষীয়ভাবে কূটনৈতিক পন্থায় এই সংকটের সমাধানের জন্য প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ এক মাসে এটা স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও হস্তক্ষেপ ছাড়া মিয়ানমার সরকারকে কোনো কথা শোনানো যাবে না। বিবৃতিতে জাতিসংঘে পেশ করা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা সুপারিশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলা হয়, কফি আনান কমিশনের সুপারিশেও একই কথা প্রতিফলিত হয়েছে। মিয়ানমার সরকার কফি আনান সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কমিটি গঠন করলেও তা একান্তই লোক দেখানো ও বিশ্বজনমতকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা মোচনে চীনসহ যেসব দেশ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। তবে এটা কোনোক্রমেই যথেষ্ট নয় বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নির্মূল অভিযানসহ সব সহিংসতা বন্ধ করা ও সেখানে নিরাপত্তা পরিবেশ ফিরিয়ে এনে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়া ও নাগরিকত্বসহ সব প্রকার অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করার মধ্যেই এর সমাধান বের করতে হবে।
