রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
মতবিনিময় সভায় বক্তারা

রোকেয়া হায়দার সাংবাদিকতার অহংকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোকেয়া হায়দার সাংবাদিকতার অহংকার

জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান সম্পাদক রোকেয়া হায়দারের সঙ্গে মতবিনিময় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় রোকেয়া হায়দার নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি আজ নারী সাংবাদিকতার অহংকার। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেও তিনি সাহস হারাননি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। নিজের মেধা, যোগ্যতা ও পেশার প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন বলেই আজ এই সাফল্য এসেছে। আজ তিনি ভয়েস অব আমেরিকার মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগের প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান সম্পাদক রোকেয়া হায়দারের সঙ্গে মতবিনিময় ও বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে-একাংশ) মহাসচিব ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, উইমেন্স জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি বিলকিস আরা, মানবজমিনের প্রকাশক ও সংবাদ উপস্থাপিকা মাহবুবা চৌধুরী, বাসসের সাবেক বার্তা সম্পাদক রাশেদা বেগম। অনুষ্ঠানে অনেক নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। রোকেয়া হায়দারের বিশেষ কৃতিত্বের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, ফুলের তোড়া, বই ও নানা উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।

রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এখানে কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বলে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না। নিজের মেধা, যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়েই এ পেশায় সবাইকে টিকে থাকতে হয়। আমাকেও সে লড়াই করতে হয়েছে। কখনো সাহস হারাইনি। সবার মতো অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।’ সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের এখনো প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। বৈষম্য মোকাবিলা করতে হচ্ছে। রোকেয়া হায়দার এই প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই সাফল্য পেয়েছেন। কারণ তিনি সাহস হারাননি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। নিজের মেধা, যোগ্যতা ও পেশার প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন বলেই আজ এই সাফল্য এসেছে। আজ বাংলাদেশের গর্বিত এক নারী রোকেয়া হায়দার। তিনি নারী সাংবাদিকদের অহংকার ও প্রেরণা।’

বক্তারা সাংবাদিকতায় রোকেয়া হায়দারের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনেকে ঢাকায় রোকেয়া হায়দারের কর্মজীবনের স্মৃতিচারণা করেন। কলকাতা হাইস্কুলে পড়ালেখা করার সময় থেকেই খবর পরিবেশনের প্রতি ঝোঁক ছিল রোকেয়া হায়দারের। তিনি অনেকের মাঝে কথা বলতে ভালোবাসতেন। ঢাকা ইডেন কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ১৯৬৯ সালে প্রথম চট্টগ্রাম বেতারে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে। ১৯৮১ সালের ২০ অক্টোবর ভয়েস অব আমেরিকায় কাজ শুরু করেন। তিনি মূলত খেলাধুলার খবর সংগ্রহে বেশি আগ্রহী ছিলেন। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে আজ এই অবস্থানে এসেছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর