চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসের কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া খুনিদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের পরিচয়, আবাসিক ঠিকানাসহ অনেক তথ্যই পুলিশের হাতে এসেছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম রউফ বলেন, ‘কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে এমন কয়েকজনের নাম আমরা পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই এ খুনের ভালো রেজাল্ট দিতে পারব।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার ছোট ভাই জড়িত, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। কিলিং মিশনে সাত-আটজন সরাসরি অংশ নিলেও ঘটনাস্থলের অদূরে নিউমার্কেট মোড় ও কালীবাড়ি মন্দির মোড়ে আরও ৩০-৩৫ জন ছিলেন। এরই মধ্যে এ খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন কয়েক আসামির বাড়িতে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তারা সে সময় বাসায় ছিলেন না। পুলিশ ধারণা করছে, সুদীপ্তকে খুনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আক্তার বলেন, খুনের মূল ঘটনায় ও সহযোগী হিসেবে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। এদের বেশ কয়েকজনকে আমরা স্পষ্ট শনাক্ত করতে পেরেছি। খুনি শনাক্ত। এখন শুধু আমরা গ্রেফতারের অপেক্ষায়।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বাবা বাবুল বিশ্বাস মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।