রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার সাক্ষী এমপিপুত্র বখতিয়ার আলম রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির আদালতে দুই রকম জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মাহানগর হাকিম আদালতের বিচারকের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তিনি বলেছেন, ‘হঠাৎ তিনি (রনি) কিছু না বলে পিস্তল বের করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি করেন। আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। এর কিছুক্ষণ পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে আমি টান দিয়ে চলে যাই।’ কিন্তু গতকাল সাক্ষ্য দিতে এসে ইমরান ফকির জবানবন্দিতে বলেন, ‘সোনারগাঁও হোটেল থেকে মগবাজার মোড় ঘুরে বাংলামোটরের দিকে যাই। আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। এক সাইডে রাস্তা বন্ধ ছিল। রনি সাহেব আমার পাশের ছিটে বসা ছিলেন। সামনে একটা ট্রাক ছিল। রনি সাহেবের হাতে পিস্তল ছিল। আমি পিস্তলের আওয়াজ পাই। পরে আমি গাড়ি চালিয়ে চলে যাই।’ গতকাল ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু সালেহ সালাউদ্দিন সাক্ষীর এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালতের পেশকার মো. শামীম আহম্মেদ জানান, সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বিচারক। এ মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে সামান্য যানজটে পড়ে উত্তেজিত হয়ে প্রাডো গাড়ি থেকে নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি। এ ঘটনায় আহত হন অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম।