নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানান। গত ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট। পরে কয়েক দফা এই রায় স্থগিত ঘোষণা করেছিল আপিল বিভাগ। জানা গেছে, ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে ছাড়া পান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট-২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১১ অক্টোবর তিনি হাই কোর্টে রিট করেন। শুনানির পর ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর হাই কোর্ট রুল জারি করে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর টয়েনবি সার্কুলার রোডের একটি বাড়ির মালিক মো. মজিবুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আইনের বিধান চ্যালেঞ্জ ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট করেন মজিবুর। শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রুলসহ সাজার আদেশ স্থগিত করে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন আরেকটি রিট করেন। এতে বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি সঙ্গে রেখে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই বছরের ৮ মে হাই কোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। তিনটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেয় হাই কোর্ট।