বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সরকার সেই বিচার বিভাগকেও মুজিবীকরণ করতে চায়। শেখ হাসিনা শান্তির জন্য নয়, অর্থনীতির জন্য নয়, গুমের জন্য নোবেল পাওয়ার যোগ্য। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এর আয়োজন করে। গয়েশ্বর বলেন, আজকে বাংলাদেশের গোটা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে আমার কাছে মনে হয় সবকিছু শেষের আগে যেসব অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো ঘটে এই সরকার তেমনি আচরণ করছে। দেশের জনগণ তাদের ভোগান্তির শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন। যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না, সেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আইনের শাসনের তোয়াক্কা করে না। এ জন্যই খুন, গুম আর জঙ্গিবাদের নাটকের মধ্য দিয়ে দেশ চলছে। তিনি বলেন— দেশি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা প্রতি বছর রিপোর্ট ছাপে যে, বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। আর সেই দেশে অন্যায়ভাবে জনগণের সমর্থন ছাড়া পেশি শক্তির বলে প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজে লাগিয়ে যারা ক্ষমতায় আছেন সেই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিকে যখন মাদার অব হিউম্যানিটি বলে-সেটা জনগণের সঙ্গে মসকরা, ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধান বিচারপতির ছুটি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধান বিচারপতি এর আগেও এক মাসের ছুটিতে গিয়েছিলেন কিন্তু তখন তার ছুটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোনো ধরনের কথা ওঠেনি। কারণ সেই ছুটিটা ছিল যথারীতি এবং তার নিজের ইচ্ছায়। শেখ হাসিনা শান্তির জন্য নয়, অর্থনীতির জন্য নয়, গুমের জন্য নোবেল পাওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।