চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রস্তাবিত গৃহকর নিয়ে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম মহানগরের রাজনীতি। আসন্ন নতুন কর নিয়ে সরব বিএনপি থেকে শুরু করে সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলররা। বাদ যায়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। গৃহকর পুনর্বিবেচনা করতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে চিঠি দিয়েছেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ চিঠির পর থেকে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল।
এ বিষয়ে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, ‘বিগত সময়ের মতো ১৯৮৬ সালের করবিধির ১৯, ২০, ২১ ধারা অনুসরণ করেই অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। কারও গৃহকর নিয়ে বক্তব্য থাকলে আপিল করতে পারেন। তার পরও আমি যেহেতু জনপ্রতিনিধি, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। জনগণের কথা চিন্তা করে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করব।’
জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে গৃহকর নির্ধারণ করছে চসিক। কিন্তু এ গৃহকরকে পুঁজি করে মাঠে নামে মেয়র নাছিরবিরোধী শিবির। গৃহকর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য মেয়রকে চিঠি দেন বিএনপি সমর্থিত সাবেক মেয়র মনজুর আলম। গৃহকর ইস্যুতে মাঠে নামে বিএনপিসহ আরও বেশ কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন। মেয়র ও কাউন্সিলর কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে করদাতা সুরক্ষা পরিষদসহ বেশ কিছু সংগঠন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দলীয় প্যাড ব্যবহার করে মেয়রকে এভাবে চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি মহিউদ্দিন চৌধুরীর। মেয়রকে এভাবে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলকে তিনি আন্দোলনের জন্য উসকে দিলেন। এ নিয়ে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মহিউদ্দিন-নাছির দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে আগামী নির্বাচনে তার মাশুল দিতে হবে আওয়ামী লীগকে।
সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে গৃহকর বৃদ্ধি করলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে। ক্ষমতাসীন দলের মেয়র হিসেবে বতর্মান মেয়রের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থ চিন্তা করেই প্রস্তাবিত গৃহকর কার্যকর করা। গৃহকর বিষয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে আগামী নির্বাচনে তার মাশুল দিতে হবে দলকে।’
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে চট্টগ্রাম নগরের গৃহকর প্রস্তাব করা হয়েছে। “গলা কাটা” এ গৃহকরের ফলে নগরের বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। এটা প্রতিরোধ করতে মাঠে নামবে বিএনপি। শিগগির গৃহকরবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।’