রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বসুন্ধরায় ছয় প্রদর্শনী

দর্শনার্থীদের ভিড় ফায়ার সেইফটি প্রযুক্তি দেখতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলা ছয় প্রদর্শনী গতকাল শেষ হলো। রাজধানীর কুড়িলে আইসিসিবির চারটি হলে আয়োজিত প্রদর্শনীগুলো ছিল ১৯তম পাওয়ার বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৭, ১৪তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৭, ২১তম কন-এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৭, ১৮তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৭, ২য় ইন্টারন্যাশনাল সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি     এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৭ এবং বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সেমস গ্লোবাল যৌথভাবে আয়োজিত ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০১৭। তিন দিনব্যাপী মেলার গতকাল ছিল শেষ দিন। শেষ দিনে সাধারণ দর্শক থেকে কারখানার উদ্যোক্তাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অগ্নি নিরাপত্তা সিস্টেম, অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখতে ও ধারণা নিতে অনেকেই এসেছেন মেলায়। শেষ দিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ি, অফিস কিংবা কারখানার নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামের প্রদর্শনী। ৩০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে মেলায়। প্রতিটি স্টলেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পানির পাম্প, ফিটিংসের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করছে। এসব পণ্যের মধ্যে টেলিফোন সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো শ্রমিক ও যে কেউ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় আটকা পড়লে উদ্ধারকারী বাহিনী ও অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ পদ্ধতিতে কোনো নম্বরে ডায়ালের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হবে এই ফায়ার টেলিফোন সিস্টেমের মাধ্যমে। স্পিকার হ্যান্ডসেট, মোবাইল হ্যান্ডসেট ও ফিক্স হ্যান্ডসেট এই তিন ধরনের হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে। অপরদিকে কন্ট্রোল প্যানেলটি স্থাপন করতে হবে নিরাপদ ফায়ার কন্ট্রোল রুমে। অগ্নি নিরাপত্তার মাল্টি সেন্সর, স্মোক ডিটেক্টর, ডুয়েল হিট ডিটেক্টর, আল্ট্রাভায়োলেট ফ্লেম ডিটেক্টর ও বিম ডিটেক্টর—এসব পণ্যের মাধ্যমে কোথায় আগুন লেগেছে সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আগুনের সংকেত দেবে যন্ত্রটি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আগুন নেভানোর জন্য পানি নিক্ষেপ করবে স্প্রিংলার যন্ত্রটি। এ মেলায় বাড়ি নির্মাণের বিভিন্ন প্রযুক্তিও প্রদর্শন করা হয়েছে। বাংলাদেশ, রাশিয়া, জাপান, আমেরিকা, ইউক্রেন, সিঙ্গাপুর, চীন, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইউএই, সাউথ কোরিয়া, ইতালি, জার্মানি ও তুরস্কের ভোক্তা-উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ, সৌর বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, নির্মাণকৌশল, যন্ত্রাংশ, সেফটি ও সিকিউরিটি, ওয়াটার, ওয়েস্ট ওয়াটার টেকনোলজি এবং আবাসন শিল্পের পণ্য ও সেবার বিশাল সমাহার। বিশ্বের ১৫টি দেশ, ২৫০টি প্রতিষ্ঠান, ৩৫০টি স্টলের এই প্রদর্শনী ভোক্তা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি যুগোপযোগী প্লাটফর্ম। এতে কার্যকরী যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সেবার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছেন। ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার এই সুযোগ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

সর্বশেষ খবর