মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাঁচ কিলোমিটারের ব্যবধানে সবজির দাম দ্বিগুণ

পাইকারদের কাছে জিম্মি প্রান্তিক চাষি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী শহর থেকে পবা উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। কিন্তু এই গ্রামেই সবজির দাম শহরের তুলনায় অর্ধেক। সন্তোষপুরের চাষিরা অবশ্য নিজে শহরে সবজি নিয়ে বিক্রি করেন না। খেত থেকেই তাদের সবজি কিনে নেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে শহরে সবজির দাম চড়া থাকলেও সে অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না প্রান্তিক চাষিরা। রবিবার সকাল ৮টার দিকে সন্তোষপুরে নিজের জমি থেকে শিম উঠাচ্ছিলেন কৃষক সেলিম রেজা। শিম কেনার জন্য জমির পাশেই অপেক্ষা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ী ফুরকান আলী। সেলিম জানালেন, শিম বিক্রি করতে ফুরকানের সঙ্গে তার দর-দামও হয়ে গেছে। প্রতি কেজি ৬০ টাকা। অথচ রাজশাহী মহানগরীতে এখন শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। পাশের ডাঙিপাড়া গ্রামের খেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলছিলেন কয়েকজন নারী। তারা জানালেন, কয়েকদিন আগে তাদের খেতের মরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তখন বাজারে মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা। এখন বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। তাদের জমি থেকে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। গত কয়েক বছর ধরে শীত কিংবা গ্রীষ্মকালীন সবজিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন পবা ও পাশের মোহনপুর উপজেলার কৃষকরা। বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে ফসলের মাঠ সবখানেই সবজি আর সবজি। এখন লাউ, মুলা, ফুলকপি, ঢেঁড়স, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, পটোল, পেঁপে, কলা, বেগুন, করলা, শসাসহ নানান সবজিতে ভরপুর দুই উপজেলা। এখানকার সবজি চাহিদা মেটাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারের। মাঠে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেখা না পেলে পবা উপজেলার কৃষকরা চার চিটারের মোড়ে নিয়ে সবজি বিক্রি করেন। এখান থেকে সবজি পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন ব্যবসায়ী। চার চিটারের মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, শহরের তুলনায় এই সবজি বিক্রি হচ্ছে অর্ধেক দামে। এখানে বেগুন ২৫, ঢেঁড়স ২০, শসা ২৮ ও করলা ৩০ টাকা কেজি দরে কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর