মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গণসংযোগহীন সাংবাদিকতা সেই রাজনীতির মতোই ভয়ঙ্কর : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণসংযোগহীন সাংবাদিকতা সেই রাজনীতির মতোই ভয়ঙ্কর : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণসংযোগহীন সাংবাদিকতা গণসংযোগহীন রাজনীতির মতোই ভয়ঙ্কর। এমন কজন সাংবাদিক আছেন যারা যা চোখে দেখেন তা লিখতে পারেন? একই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়। একজনের নিউজ সবাই নিয়ে ছাপিয়ে দেন। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সাংবাদিকদের আনন্দ সম্মিলনী’-তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপলক্ষে এ সম্মিলনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন  (ডিইউজে)। বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে মহাসচিব ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে অনেকেই বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল অলিখিত। এটি বিরল। এ ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উজ্জীবিত করেছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতিত্ব করবেন। গতকাল বিএনপি একটি বড় সমাবেশ করেছে। তারাই নীতিকথা বেশি বলে যারা বেশি দুর্নীতিবাজ। যারা নষ্ট রাজনীতির সূচনা করেছে, যারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে তারাই আজ রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার কথা বলছে। এটি ভূতের মুখে রাম রাম নয় কি? তিনি বলেন, আগামী ১৮ তারিখের সমাবেশকে কেউ পাল্টা সমাবেশ মনে করবেন না। এর তারিখ পূর্ব নির্ধারিত। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে যেটি ছিল বাঙালির সম্পদ এখন সেটি সারা বিশ্বের সম্পদ। যেটি ছিল বাঙালির ঐতিহ্য এখন সেটি বিশ্বের ঐতিহ্য। সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়টি তথ্যমন্ত্রীকে মনোযোগের সঙ্গে দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবি যৌক্তিক। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, ছয় দফা মুক্তির সনদ হলে ৭ মার্চের ভাষণ হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষণা। আমরা আশা করছি ৭ মার্চের মতো ২৫ মার্চের গণহত্যার দিবসটিও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। গোলাম সারওয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধু এক বক্তব্যেই পুরো জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য উদ্বেলিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু পুরো জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কামরুল আহসান খান বলেন, সারাবিশ্বের বিখ্যাত বক্তৃতার মধ্যে এটি একমাত্র বক্তৃতা যেটির মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু একটি ভাষণ নয়। এটি একটি রাজনৈতিক দর্শন। তার এক ভাষণেই পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছে।

সর্বশেষ খবর