রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

শিগগিরই হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটিতে কারা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সেই সঙ্গে পদ পেতে চলছে দৌড়ঝাঁপ। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা দিদারুল আলম দিদার, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ। এ ছাড়া এ কমিটিতে নতুন নেতৃত্বও আসতে পারে বলেও জানান কেউ কেউ।

জানা যায়, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি দৃশ্যমান কিছু দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া গত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কমিটির আহ্বায়কসহ বেশির ভাগ নেতা বিতর্কিত হয়েছেন। এ নিয়ে নগর যুবলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন সেটিই এখন সবার মুখে মুখে। তবে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামে হওয়ায় কারা যোগ্য ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ সবই তার নখদর্পণে। তার পরও আলোচনার মাধ্যমেই তিনি কমিটি করবেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমেই দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে কমিটি করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছিল। এবারও গঠনতান্ত্রিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে হবে এ কমিটি। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, একটি মহল যুবলীগকে বিতর্কিত করতে নেপথ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে। নতুন কমিটির নেতৃত্বে যোগ্য, নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করছি। নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম বলেন, সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনায় এনে কমিটি হলে নেতা-কর্মীরা কাজ করতে উৎসাহ বোধ করবেন। একই কথা বললেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লবও।

জানা যায়, দীর্ঘ নয় বছর পর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যেভাবে সক্রিয় থাকার কথা ছিল পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় তেমন চাঙ্গাভাব ছিল না। দায়সারাভাবে ওয়ার্ড ও থানা কমিটির কার্যক্রম চালানো হয়েছিল। এদিকে গত সিটি নির্বাচনে কমিটির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে আগামীতে যুবলীগের কমিটির নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের মাঝে। ২০১৩ সালের ৯ জুলাই মহিউদ্দিন বাচ্চু আহ্বায়ক ও দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, দিদারুল আলম, মাহবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এটি তিন মাসের মধ্যে ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠন করে সম্মেলন করার কথা ছিল। বর্তমানে তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটির দুই বছর পাঁচ মাস পার হয়েছে। এই কমিটি গত দুই বছরে চারটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে মাত্র।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর