রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শাহজালালে আটক সোনার মুদ্রা জাদুঘরে রাখার প্রস্তাব

রুহুল আমিন রাসেল


শাহজালালে আটক সোনার মুদ্রা জাদুঘরে রাখার প্রস্তাব

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর কাছ থেকে আটক করা আড়াইশ সোনার মুদ্রা জাতীয় জাদুঘরে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউস জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এখনো ওই চিঠির উত্তর দেয়নি। ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান গতকাল জানান, আটক হওয়া সোনার মুদ্রাগুলোর প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য বিবেচনায় এগুলো জাদুঘরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ মুদ্রাগুলো না নেয়, তাহলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এর আগে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়— বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-০২৮ গত ১২ সেপ্টেম্বর আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটে আসেন যাত্রী ভারতের রমজান আলী। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার খটিকপাড়ায়। রমজান আলীর কাছ থেকে বিভিন্নজনের ছবিযুক্ত খোদাই করে লেখা ২৫০টি সোনার মুদ্রা আটক করা হয়। এর মধ্যে ছয় পিস মুদ্রা র‍্যাবের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী— প্রতি পিস মুদ্রায় থাকা সোনার পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৪৬ থেকে ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। কাস্টমস আইনের ক্ষমতাবলে বিমানে আসা যাত্রী রমজান আলীকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়। একই সঙ্গে আটক হওয়া ওই সোনার মুদ্রা শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্ক গুদামে জমা রাখা হয়। বর্তমানে ওই বিদেশি যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া আটক হওয়া ওই সোনার মুদ্রাগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক কিনা- তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আগেই জাতীয় জাদুঘরকে অনুরোধ করা হয়। এমতাবস্থায় পরীক্ষা-পূর্বক যাচাইয়ের জন্য জাতীয় জাদুঘরকে আবারও অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর