সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

৯ কিলোমিটার সার্কুলার সড়ক হবে বরিশালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীতে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনবিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই সার্কুলার রোডে ফুটপাথ, ড্রেন, রোড ডিভাইডার, সৌন্দর্য বর্ধনসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকবে। নগর উন্নয়ন অধিদফতর ৩ বছরের মধ্যে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইছে। নগর উন্নয়ন অধিদফতরের বরিশাল কার্যালয়ের সিনিয়র প্ল্যানার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু, রেললাইন আর পায়রা সমুদ্রবন্দর ঘিরে বরিশালের মেগা সিটিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলো পরিকল্পিত হওয়া দরকার। এর অংশ হিসেবে নগরীর প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক চার লেনবিশিষ্ট সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্ল্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী এই নেটওয়ার্ক সড়ক নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে আমতলা মোড় হয়ে শেবাচিম হাসপাতাল চত্বরের বান্দরোড হয়ে নদীবন্দর পর্যন্ত যাবে। সেখান থেকে পোর্ট রোড ব্রিজ হয়ে সার্কুলার রোড জেলখানার মোড় পর্যন্ত যাবে। এরপর হাসপাতাল রোড থেকে নতুনবাজার হয়ে মরকখোলার পোল হয়ে কাউনিয়া খালপাড় হয়ে আবার নথুল্লাবাদ পর্যন্ত গড়ে উঠবে সার্কুলার রোড নেটওয়ার্ক।

 

সিনিয়র প্ল্যানার আরও বলেন, প্রস্তাবিত প্ল্যানে সার্কুলার রোডে ফুটপাথ, ড্রেন, ডিভাইডার, সৌন্দর্য বর্ধনসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম রয়েছে। জেলখানার দুই পাশেও থাকবে ফুটপাথ এবং সৌন্দর্য বর্ধন। তিনি বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে জেলখানা স্থানান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে। এটি স্থানান্তরিত হলে ওই জায়গা থেকেই সার্কুলার রোড নির্মিত হবে।

মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক বলেন, নগরীর রাস্তা দখল করে ক্ষমতাবানরা ভবন করছে। খাল ভরাট করে ড্রেন করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সিটি করপোরেশনকে সবার আগে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, বরিশালকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ইকবাল বলেন, সার্কুলার রোডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সিটি করপোরেশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, ড্রেনেজ এবং ডাস্টবিন বরিশাল নগরীর মূল সমস্যা। নতুন পরিকল্পনায় এসব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান বলেন, সিটি করপোরেশনের মাস্টারপ্ল্যান যখন করা হয়, তখন এর সঙ্গে শহর রক্ষাবাঁধ যুক্ত করা হয়। পরে সাবেক মেয়রের সময়ে নগরীতে রিং রোড করার পরিকল্পনা হয়েছিল। নগর উন্নয়ন অধিদফতর পূর্বের পরিকল্পনার সঙ্গে হাসপাতাল রোড সংযুক্ত করতে চায়।

সর্বশেষ খবর