প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আশা করছি সামনের নির্বাচনগুলো নিরপেক্ষ হবে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মণ্ডল।

সিইসি বলেন, অনেকের একটি বা দুটি আঙ্গুলে সমস্যা থাকে, তাই ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি যেন স্মার্টকার্ডে কোনো ভুল না থাকে। প্রয়োজনে দুটি বা তার অধিক তথ্য পরিবর্তন করা যাবে স্মার্টকার্ডে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে ৯ কোটি ৪০ লাখ স্মার্টকার্ড বিতরণ করতে সক্ষম হব। তিনি বলেন, স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে মানুষ আরও স্মার্ট হয়ে যাবে। আপনারা আগে দেখেছেন কীভাবে ভোট জালিয়াতি হয়েছে। একজনের ভোট অন্য আরেকজন দিয়ে দিয়েছে। আর স্মার্টকার্ড হওয়ার পর সেই সুযোগ থাকবে না। ভোট জালিয়াতি বন্ধ যাবে। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের শনাক্ত করতে খুব সহজ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এই স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। আগে একটি লোক আরেকটি লোকের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন আর সে সুযোগ থাকবে না। কারণ ছবিসহ হাতে স্মার্টকার্ড থাকবে। ২৬ থেকে ২৭টি সেবা এই কার্ডের মাধ্যমে আপনারা পাবেন।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডের মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২জন ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন। গতকাল নারায়ণগঞ্জের ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মাঝে এ কার্ড বিতরণ করা হয়। পরে ধাপে ধাপে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, শহর ও বন্দরের সর্বমোট ৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৩২ জন ভোটারকে এ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের জন্য স্মার্টকার্ড ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছেছে।