বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সমাজ ও জাতি গঠনের কাজে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেনাপ্রধান বলেন, দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সমুন্নত রাখার আদর্শিক প্রেরণায় সেনাবাহিনী সব দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে পাঁচ সেনা সদস্যকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও রেজিস্ট্রেশনসহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে সেনাবাহিনীর সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের বিনিময়ে দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্বায়নের যুগে দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা একটি দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলব। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনজন বীরশ্রেষ্ঠ, ৫ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম, ২২ জন বীরপ্রতীক ও তাদের স্বজনদেরসহ ৩৭ জনকে পদক প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এ সময় তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।