শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিপর্যয়ে গলদা চাষ- শেষ

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভর্তুকি দাবি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভর্তুকি দাবি

‘এহে তো গলদার দাম নেই। তার উপর ফিশমিলির দাম বেশি। এক কেজি গলদায় সাত-আট শ টাহা খরচ এইরে বেচতি হচ্ছে চার-পাঁচ শ টাহায়। এহন সরকার পাশে না দাঁড়ালি দক্ষিণাঞ্চলের টোটাল চাষিরা এক্কেবারে শ্যাষ হইয়ে যাবেনে।’ অনেকটা হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে এসব কথা বলছিলেন বাগেরহাটের ফলতিতা বাজারে চিংড়ি বিক্রি করতে আসা প্রান্তিক চাষি ইবরাহিম মিয়া। তিনি বলেন, জমির হাঁড়ি (ব্যবস্থাপনা ব্যয়), মহাজনের দাদন আর ব্যাংকের ঋণ নিয়ে চাষিরা দুশ্চিন্তায় আছে। প্রতি ঘেরে লাখ লাখ টাকা লস। কোনো উপায় না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাইকে পথে বসতে হবে। এ পরিস্থিতিতে চাষিদের সরাসরি ভর্তুকি প্রদানের দাবি ক্রমে তীব্র হচ্ছে। জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলে পরপর দুই বছর গলদা চাষ লাভজনক না হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে চাষি ও ঘের মালিকরা। কম দামে চিংড়ি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অনেকে। চাষি ও ঘের মালিকরা জানায়, কোম্পানিগুলো বাজার থেকে যে দামে চিংড়ি কেনে সেই দামের ওপর লাভ নির্ধারণ করে বিদেশে রপ্তানি করে। দরপতনে তাদের প্রত্যক্ষ কোনো ক্ষতি হয় না। এর পরও তারা প্রতি বছর রপ্তানির ওপর নির্দিষ্ট অঙ্কে সরকারি ভর্তুকি পায়। কিন্তু চাষিদের জন্য সরকারি অর্থ সহায়তা নেই। চাষিদের ভর্তুকির ব্যবস্থা করলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে হাজারো দরিদ্র মানুষের। ফলে পেশা বদল করতে হবে না ক্ষতিগ্রস্তদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর