রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পিয়াজের ঝাঁজে ক্রেতার চোখে জল

মানিক মুনতাসির

একটি বেসরকারি ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন নাজমুল হুসেন। গতকাল তার সঙ্গে কথা হয়। গত এক মাসে পিয়াজ কিনেছেন মাত্র ২ কেজি। অথচ অন্য সময় কিনতেন পাঁচ কেজি। সর্বশেষ এক সপ্তাহ ধরে তরকারিতে পিয়াজের পরিবর্তে পিয়াজ পাতা ব্যবহার করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বললেন, ‘এ দেশে গরিবের কোনো দাম  নেই। ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচারও অধিকার নেই।’ এসব বলতে বলতে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। চোখের কোণায় পানি ছলছল করছিল। নাজমুলের মতো অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের প্রায় সবারই। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না পিয়াজের বাজার। সরবরাহ কম ও এবং উত্পাদন কমের অজুহাতে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হচ্ছে। এমন কি সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্মকর্তারাও বলছেন, সরবরাহ কম, উত্পাদন কম, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিরূপ আবহাওয়া। এজন্যই পিয়াজের দাম বাড়ছে। অথচ এই কারণগুলোকে অযৌক্তিক বলছেন, ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞরা। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসের ব্যবধানে দেশীয় পিয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫৩ টাকা। আর আমদানি করা পিয়াজের দাম এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৬ টাকা। এ ছাড়া পিয়াজের পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি কেজিতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য ১৫ থেকে ৩৫ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর