দীর্ঘদিন পর সিলেট জেলা ও মহানগর মহিলা দলের কমিটি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু ঘোষিত মহানগর মহিলা দলের কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে কমিটি নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কমিটিতে ত্যাগী ও রাজপথের নেতারা মূল্যায়িত হননি। এমনকি ওই কমিটি সিলেট মহানগর বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশন ও সুপারিশে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৩ সালে সিলেট মহানগর মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ। প্রায় ছয় মাস আগে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর মহিলা দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি ঘোষণা না করেই ঢাকায় ফিরে যান। পরবর্তীতে মহানগর মহিলা দলের পক্ষ থেকে একাধিক কমিটিও কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তা অনুমোদন না করে কেন্দ্রীয় নেত্রীরা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাদের মহানগর মহিলা দলের কমিটি কেন্দ্রে প্রেরণের দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী কমিটির খসড়া জমা দেওয়া হয়। মহিলা দলের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কমিটি প্রত্যাখ্যান করে। বিএনপি নেতাদের সুপারিশকৃত কমিটি গত ৭ ডিসেম্বর মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ অনুমোদন দেন। ১৯৩ সদস্যের সিলেট জেলা ও ৯৩ সদস্যের মহানগর মহিলা দলের কমিটি ঘোষণার পর থেকে মহানগর মহিলা দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেত্রীদের বাদ দিয়ে বিএনপি নেতারা তাদের পছন্দসই ও নিষ্ক্রিয়দের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, মহানগর মহিলা দলের বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সিলেট ল’ কলেজের সাবেক ভিপি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রোকসানা বেগম শাহনাজ এবার সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সভাপতি পদ পাওয়া তো দূরের কথা সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সদস্য পদেও রাখা হয়নি তাকে। অভিযোগ উঠেছে, এবারের মহানগর কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি জাহানারা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা ডেইজি রাজনীতির মাঠে ততটা সক্রিয় নন। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক ডেইজি বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতির মাঠে নীরব বলে জানা গেছে। নেতা-কর্মীরা বলছেন, এবারের কমিটিতে রাজপথে সক্রিয় ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। বিএনপি নেতাদের প্রেসক্রিপশনে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।