চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে ৪টি কারণে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মন্তব্য করা হয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিটি গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসকের কাছে এটি জমা দেয়। চার কারণের মধ্যে আছে— আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি, মানুষের অতিরিক্ত ভিড় এবং অপর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে— রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি সারানো, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া, আগামীতে এ ধরনের বড় আয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করা।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের বড় আয়োজনে অব্যবস্থাপনাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। আয়োজনের ব্যবস্থাপনার  পাশাপাশি রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথে নির্মাণ ত্রুটি ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের বড় আয়োজনের আগে যেন সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।’

গত ১৮ ডিসেম্বর নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টার এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় কুলখানির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানে অংশ নিতে দলে দলে মানুষ ঢোকার সময় পদদলনে ১০ জন মারা যায়।