বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগ বিব্রত

এবার রাজশাহীতেও প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

এ বছরের মাঝামাঝিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। গত দুই নির্বাচনে লড়াই হয়েছে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও নগর বিএনপি সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে। আগামী নির্বাচনেও এই দুজনের মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি মন্তব্য কয়েকজন নগরবাসীর। তবে এবার প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টিও। রাসিক মেয়র হিসেবে ২০০৮ সালে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আর ২০১৩ সালে নগর বিএনপি সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচিত হন। আগামীতেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তারা।

নির্বাচন সামনে রেখে আগেভাগেই মাঠে নেমেছেন লিটন ও বুলবুল। এদিকে আগামী  সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাপাও। নগর জাপার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কেন্দ্র থেকে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। এখন মহল্লা কমিটি করা হবে। আগামী সিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী থাকবে। লাঙ্গল প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় প্রার্থী দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। জাপার এমন ঘোষণায় আওয়ামী লীগ কিছুটা বিব্রত। তবে দলটির নগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলছেন, রংপুরের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা দলকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। জাপা হঠাৎ করেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র থাকাকালীন যে উন্নয়ন করেছেন, সেই উন্নয়নের কারণেই আগামীতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন নগরবাসী এমনটাই আশা তার।

জামায়াত বিএনপির পক্ষেই থাকবে। ফলে জাপা প্রার্থী দিলে আওয়ামী লীগ আবারও হতাশ হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে ডাবলু সরকার বলেন, এর আগের মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রায় ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেন। সমালোচকরাও তার উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করেন। তারপরও ২০১৩ সালে তাকে বিপুল ভোটে হারতে হয়েছিল বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে। এত উন্নয়নের পরও তার এ পরাজয়ের পেছনে আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা, হেফাজতে ইসলামের অপপ্রচার এবং জামায়াতের টাকায় বিএনপি প্রার্থীর ভোট কেনাকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, গত নির্বাচনে নারী ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এ কারণে এবার নারীদের মন জয় করতে তারা উঠান বৈঠক শুরু করেছেন। নারীদের সহজেই ধর্মীয়ভাবে ঘায়েল করে থাকে একটি চক্র। এবার যাতে সেটি না হয়, সেজন্য তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে জাপা প্রার্থী দিলে তাদের ভোটের কৌশল নতুন করে সাজাতে হবে।

সর্বশেষ খবর