বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
আলোচনা সভায় বক্তারা

দেশের সব নারী মুক্তিযোদ্ধা, কোনো রাজাকার নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, একাত্তরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এদেশের নারী-পুরুষ যুদ্ধ করেছেন। একইভাবে দেশ গড়ার কাজেও পুরুষের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলছেন নারীরা। নারীদের মধ্যে কোনো রাজাকার নেই।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্যের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমণি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন,     ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেনজীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ বেগম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল মজুমদার প্রমুখ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সব নারীই মুক্তিযোদ্ধা। নারীদের মধ্যে কোনো রাজাকার নেই। যুদ্ধের সময় নারীরা বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। পুরুষের মতো নারীরাও সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচর্যা, গোপন বার্তা আদান-প্রদান করেছেন নারীরা। মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য নারী নিহত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে নারীরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এই নারীদের অবদান খাটো করে দেখা হয়, অস্বীকার করা হয়। তিনি বলেন, দেশে এখনো মুক্তিসংগ্রাম চলছে এবং এ সংগ্রামে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি পরিবার থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। ডা. দীপুমণি বলেন, নারীদের অংশীদারিত্ব অস্বীকার না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা রাজাকারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এটা এখনো আমাদের পীড়া দেয়, কষ্ট লাগে। তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

সর্বশেষ খবর