রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
আটক ৫০, আহত শতাধিক

পুলিশি বাধায় ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশি বাধার মুখে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। গতকাল ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় এ কর্মসূচি পালন করে দলটি। এতে পুলিশ বাধা দিলে অনেক স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত এবং তার চেয়েও বেশিসংখ্যক আটক হন। তবে বেশির ভাগ স্থানেই পুলিশের লাঠিচার্জ আর বাধার সামনে পণ্ড হয়ে যায় প্রতিবাদ মিছিল। উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব, মিরপুর, ভাসানটেক, দক্ষিণখানের বিমানবন্দর ও মোল্লার টেক, তুরাগসহ বিভিন্ন থানায় বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির গতকালের প্রতিবাদ কর্মসূচি। তবে ধানমন্ডি ১৯ নম্বর সড়ক থেকে বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মীনাবাজারের সামনে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। এ ছাড়া শেরেবাংলানগর, বাড্ডা, পল্লবী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, রূপনগর, দারুসসালাম, উত্তরা পশ্চিমসহ আরও বেশ কয়েকটি থানায় শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাড্ডা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল এ জি এম শামসুল হকের নেতৃত্বে বাড্ডা লিঙ্ক রোড থেকে শুরু হয়ে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এসে শেষ হয়। কাউন্সিলর মো. সাজ্জাদ ও বুলবুল মল্লিকের নেতৃত্বে পল্লবী থানা বিএনপির একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এল রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় তেজগাঁও থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে শেরেবাংলানগর থানা বিএনপির একটি মিছিল স্কয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে শমরিতা হাসপাতালের সামনে গিয়ে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলটি আনন্দ বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে শিশুমেলায় গিয়ে শেষ হয়।

 রামপুরা থানা বিএনপির মিছিলটি সাইফুর রহমান মিহিরের নেতৃত্বে শেষ হয়। রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে শুরু হয়ে দুয়ারীপাড়া গিয়ে শেষ হয় রূপনগর থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। উত্তরখান থানা বিএনপির একটি মিছিল বেপারী রোড থেকে শুরু হয়ে চৌরাস্তা গিয়ে পৌঁছলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির দ্বিতীয় বিক্ষোভ মিছিলটি মো. মতিউর রহমান মতির নেতৃত্বে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয়ে কিছু দূর যেতে না যেতে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। একই অবস্থা মিরপুর থানা বিএনপির। এস এ ছিদ্দিক সাজু ও দেলোয়ার হোসেন দুলুর নেতৃত্বে প্রশিকা ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। ভাসানটেক থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল কচুক্ষেত বাজারের সামনে থেকে শুরু করতে গেলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়।

 মিছিল থেকে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। দক্ষিণখান থানা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল হাজী ক্যাম্প থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর স্টেশনের সামনে এলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। দক্ষিণখান থানা বিএনপির আরেকটি মিছিল দক্ষিণখান বাজার থেকে মোল্লার টেক পর্যন্ত গেলে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়।

উত্তরা বিএনপির মিছিল মো. মাসুদ খানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে মাজার রোডে এসে শেষ হয়। দারুসসালাম থানা বিএনপির আরেকটি মিছিল এইচ এম ইমরান, মো. ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম ও আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে মাজার রোডে এসে শেষ হয়। এতে থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। নেতৃত্ব দেন মো. ইসমাইল হোসেন, আলী আকবর আলী, দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, বাবলু, শাহজালালসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

তুরাগ থানার মিছিলটি ৫ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু হয়ে ২ নম্বর সেক্টরে গিয়ে পৌঁছালে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর