মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মশার ওষুধ খায় কারা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মশার ওষুধ খায় কারা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গত তিন বছরে মশা নিধন কার্যক্রমে ওষুধ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যয় করেছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেবল চলতি অর্থবছরের ছয় মাসেই ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এ খাতে প্রতি বছরই বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করা হলেও দৃশ্যমান কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মশার যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ মিলছে না নগরবাসীর। এমন অভিযোগ করে নগরবাসী জানিয়েছেন, মশার ওষুধ অন্য কেউ খেয়ে ফেলছে। যে কারণে মশা নিধনে টাকা ব্যয় করা হলেও এর কাঙ্ক্ষিত সুফল নেই। আবার এ কার্যক্রমও তেমন চোখে পড়ে না। স্প্রে-ম্যানদের ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না। রাতদিন মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ থাকতে হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) মশা নিধন কার্যক্রমের জন্য ওষুধ ও মালামাল ক্রয় খাতে সাড়ে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এর মধ্যে গত জুন মাসে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করা হয়েছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মশা নিধনে ওষুধ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যয় হয় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অ্যাডালটিসাইড/ লার্ভিসাইড/ কালো তেল ক্রয়ের জন্য ২ কোটি টাকা এবং ফগার/পাওয়ার/স্প্রে/হ্যান্ড মেশিন ক্রয়ে ব্যয় হয় ৮০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও এসব খাতে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। বর্তমানে ১২০ জন স্প্রে-ম্যান, উন্নতমানের ১১০টি ফগার মেশিন ও ৩০০টি সাধারণ স্প্রে মেশিনও আছে এ সিটি করপোরেশনে। চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘নিয়ম মতো মশার ওষুধ ছিটানো হয়। কোন দিন কোন এলাকায় ওষুধ ছিটানো হয় সে তথ্য ওয়ার্ড অফিসে থাকে। তা ছাড়া স্প্রে-ম্যানরা যাতে কাজে ফাঁকি দিতে না পারেন সে জন্য যে এলাকায় ওষুধ ছিটানো হয়, ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হয়।’ চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান ছিদ্দিকী বলেন, ‘মশার উপদ্রব কমাতে নগরবাসীকেও সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেকে নিজ আঙিনা ও সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার রাখলে মশা থাকবে না।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর