মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিগগিরই হচ্ছে না জবির কেরানীগঞ্জের ক্যাম্পাস

রাশেদ হোসাইন, জবি

শিগগিরই হচ্ছে না জবির কেরানীগঞ্জের ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসের প্ল্যান জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ জুলাই একনেকে এক সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন। এরপর পেরিয়ে গেছে ছয় মাসেরও বেশি। কিন্তু সেই প্ল্যান আর জমা দেওয়া হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ের ওই একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবন ও একটি হল নির্মাণে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প’ উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী সেটিকে অনুমোদন না করে আরও বড় এবং সমন্বিত প্রকল্প প্রস্তাব এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পুরান ঢাকা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুপযোগী জায়গা। সাত একর বা ১০ একর জায়গা বা খুচরা একটি ভবন বা হল দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে। এখানে সব একাডেমিক ভবন, হল, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার, অডিটরিয়াম, খেলার মাঠ, টিএসসি সবই থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দফতরে প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘসূত্রতা এবং আন্তরিকতার অভাবের কারণে পরিকল্পনা জমা দেওয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তাই এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৩ আগস্ট ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। ডিসি অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়, ২০০ একর জমির খসড়া মূল্য ১০৩১ কোটি টাকা। প্রস্তাবটি গত ২৫ অক্টোবর রাজউকে ছাড়পত্রের জন্য দেওয়া হয়।

আর রাজউক থেকে ছাড়পত্র পায় দুই মাস ১০ দিন পর গত ৪ জানুয়ারি। সূত্র জানায়, এখন ফাইল যাবে নগর উন্নয়ন অধিদফতরে। সেখান থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী বিভাগে যাবে, সেখানে মূল্য নির্ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া এ কাজে পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়েরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হওয়ার পর ডিসি অফিস ভূমি অধিগ্রহণ করবে। আর এসব কাজ শেষ করতে কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রায় এক বছরের ওপর সময় লাগবে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি রক্ষা সম্ভব হবে কিনা।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানান, কেরানীগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে খসড়া পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরপর একটি নামি কোম্পানির মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ শুরু করা হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর