খুলনার তেরখাদায় অস্ত্র মামলায় ইউপি সদস্য পলাশ শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিবারের দাবি, যে অস্ত্র দিয়ে পলাশ শেখকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করা হয়, সেই অস্ত্রেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পলাশ শেখের স্ত্রী এখানে বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত ভেন্টিলেটর দেওয়ার জন্যও আমাদের সিদ্ধান্ত আছে।’ চমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইসিইউ শয্যা পেতে প্রায় প্রতিদিনই আবেদন জমা পড়ে। শয্যা খালি থাকা সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এ বিভাগের শয্যার জন্য উপর মহলের তদবিরের সংখ্যাও কম নয়। জানা গেছে, ২০০৫ সালে ১২টি শয্যা নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগটির যাত্রা। ১২টি শয্যা থাকলেও প্রায় সময় তিন থেকে চারটি শয্যা প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে নষ্ট থাকে। একটি আইসিইউ শয্যা স্থাপনের জন্য খরচ হয় প্রায় দুই কোটি টাকা। তবে আইসিইউ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১২ শয্যার বিপরীতে অন্তত আরও ছয় শয্যার উপকরণ বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার রোগী ভর্তি থাকে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় চার কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসার এ হাসপাতাল। অথচ আধুনিক চিকিৎসার অন্তিম সময়ের শেষ সেবাকেন্দ্র আইসিইউর শয্যা সংকটে প্রতিদিনই চরম কষ্টের মুখোমুখি হচ্ছেন মুমূর্ষু রোগীরা। পক্ষান্তরে চট্টগ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ চিকিৎসা কেন্দ্র আছে। কিন্তু তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এসব সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেওয়া গরিব-অসহায়দের পক্ষে সম্ভব নয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট, নিউরোসার্জারি, গাইনোকোলোজি, কার্ডিওলজি, কার্ডিয়াক সার্জারি, নেফ্রোলজি, মেডিসিন বিভাগ থেকে প্রতিদিনই মারাত্মক রোগীদের আইসিইউতে রেফার করা হয়। কিন্তু আইসিইউতে শয্যা দেওয়া যায় না। ফলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন রোগীও আইসিইউর অভাবে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ১২ শয্যার বাইরে নগরের মা-শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে আছে ২০টি শয্যা।
তাছাড়া বেসরকারি কয়েকটি হাসপতালে শয্যা থাকলেও তা বেশ ব্যয়বহুল। তবে এসব হাসপাতালের শয্যাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ নেই বলেও অভিযোগ আছে। তাছাড়া চমেক হাসপাতালে ১৫ টাকার টিকিট কেটে আইসিইউ সেবা পেলেও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে দৈনিক ব্যয় হয় ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে মা-শিশু হাসপাতাল ও ডায়বেটিক হাসপাতালে দৈনিক ব্যয় প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।