কুমিল্লা ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, একাত্তর সাল থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শুরু। সে সময় ধর্মের নামে আল বদর, রাজাকাররা মানুষ হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামীর রাজাকাররাই ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে তারাই মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সোমবার রাতে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে লেখাপড়া করানো উচিত। তাহলে নারী-পুরুষের দূরত্ব কমবে। নারী নির্যাতন কমবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ক্লাব সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য রাখেন শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আরফানুল হক রিফাত, সাংস্কৃতিক উপকমিটির আহ্বায়ক হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. আবদুল হান্নান। অনুষ্ঠানে ১৩ গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে মরণোত্তর ১০ জন হলেন বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর, শচীন দেববর্মন, ওস্তাদ আয়েত আলী খান, নবাব ফয়জুন্নেছা, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ, মেজর গণি, শহীদ লে. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ও  ডা. যোবায়দা হান্নান। জীবিত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও চাঁদপুরের চিকিত্সক বদরুন নাহার।