বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রোগীর খাবারেও ‘নয়ছয়’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

রোগীর খাবারেও ‘নয়ছয়’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ড এবং ভিআইপি কেবিনে খাবার সরবরাহ নিয়ে ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ রয়েছে। দৈনিক খাবারের তালিকায় যা বরাদ্দ থাকছে, তা থেকে কম দিয়ে বা কোনো একটি খাবার বাদ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।  চমেক হাসপাতালে এক হাজার ৩১৩ শয্যা থাকলেও প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি থাকেন দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার। ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য এসব খাবার বরাদ্দ থাকে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে সাময়িক সময়ের জন্য ভর্তি হন রোগীরা। এ সময়ে সবাই কার্যত রোগীর সেবা ও ওষুধপত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই কেউ খাবারের সমস্যা নিয়ে নতুন কোনো ঝামেলায় জড়াতে চান না। ফলে বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য হয় না।

হাসপাতালের প্রশাসন সূত্রে জানা    গেছে, হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ড    এবং ভিআইপি কেবিন মিলে ৩৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে অভিন্ন তালিকার খাবার বরাদ্দ থাকে। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে আট প্রকারের ডায়েট সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে সকালে থাকে      ডিম-পাউরুটি ও দুধ, দুপুরে থাকে ভাত-মুরগি-সবজি ও ডাল এবং রাতে থাকে ভাত-মাছ-সবজি ও ডাল। দৈনিক প্রত্যেক রোগীর জন্যই এসব খাবার বরাদ্দ থাকে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি থাকা সাধারণ ওয়ার্ড এবং কেবিনের সব রোগীর জন্য অভিন্ন খাবার সরবরাহ করা হয়।

তবে রোগী এবং রোগের ধরন অনুযায়ী ভর্তি থাকা রোগীদের আট ডায়েটের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে, যাকে যে খাবার দিতে বলা হয়েছে তাকে সে রকমই দেওয়া হয়।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চমেক হাসপাতালের খাবার বেশ মানসম্পন্ন। মানের ব্যাপারে আমরা কখনো আপস করি না। তাছাড়া খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রেও কোনো আইটেম বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেন তাহলে আমরা সরাসরি ব্যবস্থা নেব।’  

অন্যদিকে রোগীদের অভিযোগ, সকালের নাস্তা তালিকা মতে দেওয়া হলেও দুপুর ও রাতের খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম দেখা যায়। যেমন প্রতিদিন এক বেলা মাছ ও এক বেলা মুরগি দেওয়ার কথা। কিন্তু মুরগির চেয়ে মাছের দাম বেশি হওয়ায় অনেক সময় দুই বেলায়ই মুরগি দেওয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে সাধারণ ওয়ার্ডে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোনো কোনো আইটেম বাদ দিয়ে সরবরাহ করা হয়। কখনো কখনো রোগীর নির্ধারিত খাবার রোগীর স্বজন কিংবা নতুন আসা রোগীদের কাছে বিক্রি করেও দেওয়া হয়। সকালের নাস্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও হেরফের করা হয়। সকালে রুটি, ডিম ও দুধ দেওয়ার কথা থাকলেও এর মধ্যে কোনো একটি খাবার বাদ দিয়ে সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর